আগামী অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রস্তাবিত বাজেটে চাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের করা হয়েছে। সব ধরনের চাল আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ প্রযোজ্য হবে। এর ফলে আমদানি করা চালের দাম বাড়বে।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতের প্রধান উপকরণসমূহ বিশেষ করে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখা হয়েছে। কৃষকের উৎপাদিত ধান চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ পুনঃআরোপ করা হয়েছে। কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গম, ভূট্টা, আলু ও কাসাভা থেকে উৎপাদিত স্টার্চের শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণ করে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি ডিউটি ১০ শতাংশ হারে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২ বার বাজেট উপস্থাপন করলেন ৮৫ বছর বয়সী মুহিত। ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।